Saleha Mothercare

সালেহা মাদার কেয়ার-এ আপনাকে স্বাগতম। আমাদের হাসপাতাল মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার জন্য নিবেদিত। আমরা মানসম্পন্ন চিকিৎসা ও সহায়তা প্রদান করি, যাতে প্রতিটি মায়ের এবং শিশুর সুস্থ জীবন নিশ্চিত করা যায়।

Visiting Hours

Gallery Posts

blog s 1 2

গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টি – মায়ের ও শিশুর সুস্থতার মূল চাবিকাঠি

গর্ভাবস্থায় পুষ্টি গ্রহণের গুরুত্ব:

গর্ভাবস্থায় মায়ের সঠিক পুষ্টি গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ সময় মায়ের শরীর এবং শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়ে যায়। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে মায়ের সুস্থতা এবং শিশুর স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব। নিয়মিত পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শের মাধ্যমে মাকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।

১. শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ:
মায়ের খাদ্যাভ্যাসের উপর শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ নির্ভর করে। প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার শিশুর মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য অঙ্গের বিকাশে সহায়তা করে।

২. শক্তি বৃদ্ধি:
গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়। সঠিক পরিমাণে ক্যালোরি গ্রহণ মাকে শারীরিকভাবে সক্রিয় ও শক্তিশালী রাখে এবং প্রসবের জন্য প্রস্তুত করে।

  1. অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ:
    গর্ভাবস্থায় মায়েদের অনেক সময় আয়রনের অভাবে অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। সঠিক পরিমাণে আয়রনযুক্ত খাবার গ্রহণ (যেমন পালং শাক, লাল মাংস, ডাল) রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে।

  2. হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা:
    শিশুর হাড়ের গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। মায়ের খাদ্যে দুধ, দই, পনির, এবং অন্যান্য ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার নিশ্চিত করা হলে শিশুর হাড়ের সঠিক গঠন এবং মায়ের হাড়ের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

  3. ওজন নিয়ন্ত্রণ:
    সঠিক পুষ্টির মাধ্যমে মায়ের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা জটিলতা কমাতে সহায়তা করে। অতিরিক্ত ওজন বা কম ওজনের কারণে প্রসবের সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

  4. প্রসবের প্রস্তুতি:
    পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ মাকে প্রসবের জন্য মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুত করে তোলে। গর্ভাবস্থায় যথাযথ পুষ্টি গ্রহণ করলে প্রসব সহজ হয় এবং প্রসব-পরবর্তী সময়েও মায়ের পুনরুদ্ধার দ্রুত হয়।

গর্ভাবস্থায় গ্রহণযোগ্য কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার:

  • প্রোটিন: ডাল, ডিম, মুরগি, মাছ
  • ফল ও সবজি: তাজা ফল, সবুজ শাকসবজি
  • কার্বোহাইড্রেট: পুরো শস্যের রুটি, চাল, ওটস
  • আয়রন ও ক্যালসিয়াম: পালং শাক, দুধ, দই, পনির
  • ভিটামিন ও মিনারেলস: বিভিন্ন রঙের শাকসবজি, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল

পরামর্শ:

গর্ভাবস্থায় খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিকল্পনা করা উচিত। এটি মায়ের স্বাস্থ্য এবং শিশুর নিরাপদ বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

Blog Image

Comments are closed